আমরা অনেক সময় হতাশা, দুশ্চিন্তা, অসুস্থতা কিংবা ক্রোধের কারণে বদদোয়া করে ফেলি, যা পরে আমাদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, নবীজি (সা.) আমাদের সাবধান করেছেন এবং কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে বদদোয়া করা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। উদাহরণস্বরূপ, নিজের বা সন্তানের বিরুদ্ধে বদদোয়া করা একেবারেই ঠিক নয়, কারণ এক মুহূর্তের আবেগের কারণে আল্লাহর কাছে যে দোয়া করা হয়, তা কবুল হতে পারে। মায়ের প্রতি সন্তানের প্রতি বিরক্তি থেকেই অনিচ্ছাকৃত বদদোয়া হতে পারে, যা ক্ষতির কারণ হতে পারে। অন্যদিকে, নবীজি (সা.) খাদিম বা অধীনস্থদের বিরুদ্ধে বদদোয়া করার ব্যাপারেও সতর্ক করেছেন, কারণ তাদের বিরুদ্ধে করা বদদোয়া আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারে এবং সেটি আমাদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। একইভাবে, ব্যবহৃত জিনিসপত্র কিংবা অন্য কিছু অনিয়ন্ত্রিত মুহূর্তে অভিশপ্ত করার ফলে ক্ষতি হতে পারে, যেমন এক সাহাবি তাঁর উটকে অভিশাপ দিয়েছিলেন, যার ফলে নবীজি (সা.) তাঁকে সতর্ক করেছিলেন। মুমিনদের বিরুদ্ধে বদদোয়া করা বা পরিবেশের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করাও সমীচীন নয়। ঈমানদারদের অভিশাপ দেওয়া অত্যন্ত পাপ, এবং নবীজি (সা.) আমাদের এই ধরনের কাজ থেকে দূরে থাকতে বলেছেন। তাছাড়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা বৈরী আবহাওয়া নিয়ে ক্ষোভ বা বদদোয়া করা উচিত নয়, কারণ পরিবেশের উপরে বদদোয়া করা আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্দেশপ্রাপ্ত কিছু কিছুর বিরুদ্ধে হওয়া ছাড়া আর কিছু নয়।